তথ্য অবমুক্তকরণ নির্দেশিকা
কৃষি মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা
মুখবন্ধ
রূপকল্প ২০২১ অনুযায়ী জনগণের পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও খাদ্যে আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের লক্ষ্যে কৃষি ভিত্তিক কার্যক্রমের যথাযথ বাস্তবায়নে কৃষি মন্ত্রণালয় প্রায়োগিক ও নীতিগত সহযোগিতা প্রদান করে থাকে। আমাদের অর্থনীতির একটি মূল ভিত্তি হল কৃষি ভিত্তিক কার্যক্রম। দেশের শতকরা ৪৭.৩০ শতাংশ লোক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কৃষির সাথে জড়িত। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে এ মন্ত্রণালয় কৃষি সম্প্রসারণ ও প্রশিক্ষণ, কৃষি গবেষণা, মানসম্পন্ন বীজ উৎপাদন, প্রত্যয়ন, সংরক্ষণ ও বিতরণ, মৃত্তিকা জরীপ, কৃষি পণ্যের বিপণন, লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনসহ সেচ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ দপ্তর ও সংস্থার সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে থাকে। মন্ত্রণালয় মনে করে যে প্রত্যাশী ও সুবিধাভোগী জনগণ সহজ ও স্বচ্ছন্দভাবে প্রয়োজনানুগ তথ্য পেলে আরো বেশী উপকৃত হবেন। অপরপক্ষে এর দ্বারা মন্ত্রণালয়ের কাজকর্মের জবাবদিহিতাও নিশ্চিত হবে। তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ কার্যকর হওয়ার মধ্যদিয়ে প্রথমবারের মত জনগণের এ সকল তথ্য পাওয়ার আইনগত অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তথ্য প্রবাহ অবাধ করার লক্ষ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় ‘‘তথ্য অবমুক্তকরণ নির্দেশিকা’’ প্রণয়ন করেছে।
আশাকরি এ নির্দেশিকার আলোকে জনগণ সহজেই কৃষি মন্ত্রণালয়ে তথ্য সংগ্রহ করতে পারবে এবং এ মন্ত্রণালয়ের কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি পাবে।
সচিব
কৃষি মন্ত্রণালয়
১। পটভূমি
সরকারি কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ‘‘তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯’’ (২০০৯ সনের ২০ নং আইন) প্রণয়ন করেছে। এ আইনের অধীনে বিধিমালা ও প্রবিধানও প্রণীত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় কৃষি মন্ত্রণালয় জনগণের তথ্য প্রাপ্তির সুবিধার্থে এ নির্দেশিকা প্রকাশ করছে। এর ফলে প্রত্যাশী জনসাধারণ সহজেই তথ্য আহরণ প্রক্রিয়া জানতে এবং অধিকার মোতাবেক প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন।
২। তথ্য চাওয়ার ক্ষেত্রে সচরাচর যে সকল প্রশ্ন করা হয়ঃ
উঃ তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালা, ২০০৯ এর বিধি-৩ এ বর্ণিত ফরম ‘ক’ (ক্লিক করুন) ব্যবহার করে তথ্যের জন্য সরাসরি বা ই-মেইলের মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বরাবর আবেদন করতে পারেন।
আবেদনে আবশ্যিকভাবে নিম্নলিখিত বিষয়সমূহের উল্লেখ থাকতে হবে-
(ক) অনুরোধকারীর নাম ঠিকানা, প্রযোজ্য ক্ষেত্রে ফ্যাক্স নম্বর এবং ই-মেইল ঠিকানা;
(খ) যে তথ্যের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে তার নির্ভুল এবং স্পষ্ট বর্ণনা;
(গ) অনুরোধকৃত তথ্যের অবস্থান নির্ণয়ের সুবিধার্থে অন্যান্য প্রয়োজনীয় প্রাসঙ্গিক তথ্যাবলী;
(ঘ) কোন্ পদ্ধতিতে তথ্য পেতে আগ্রহী তার বর্ণনা অর্থাৎ অনুলিপি নেয়া, নোট নেয়া বা অন্য কোন অনুমোদিত পদ্ধতি।
উঃ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ধারা ৬ অনুযায়ী মন্ত্রণালয় কর্তৃক জনস্বার্থে গৃহীত সকল সিদ্ধান্ত, সম্পাদিত ও চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম সংক্রান্ত তথ্যাদি পেতে পারেন।
উঃ না। নিম্নবর্ণিত তথ্যগুলো ছাড়া অন্যান্য তথ্যের জন্য আপনি আবেদন করতে পারেনঃ
ক। কোন তথ্য প্রকাশের ফলে বাংলাদেশের নিরাপত্তা, অখন্ডতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি হতে পারে এরূপ তথ্য;
খ। পররাষ্ট্রনীতির কোন বিষয় যার দ্বারা বিদেশী রাষ্ট্রের অথবা আর্ন্তজাতিক কোন সংস্থা বা আঞ্চলিক কোন জোট বা সংগঠনের সাথে বিদ্যমান সম্পর্ক ক্ষুণ্ণ হতে পারে এরূপ তথ্য;
গ। কোন বিদেশী সরকারের নিকট হতে প্রাপ্ত কোন গোপনীয় তথ্য;
ঘ। কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন তৃতীয় পক্ষের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এরূপ বাণিজ্যিক বা ব্যবসায়িক অন্তর্নিহিত গোপনীয়তা বিষয়ক, কপিরাইট বা বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদ (Intellectual Property Right) সম্পর্কিত তথ্য;
ঙ। কোন তথ্য প্রকাশের ফলে জনগণের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বা বিচারাধীন মামলার সুষ্ঠু বিচার কার্য ব্যাহত হতে পারে এরূপ তথ্য;
চ। কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন ব্যক্তির ব্যক্তিগত জীবনের গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ হতে পারে এরূপ তথ্য;
ছ। কোন তথ্য প্রকাশের ফলে কোন ব্যক্তির জীবন বা শারীরিক নিরাপত্তা বিপদাপন্ন হতে পারে এরূপ তথ্য;
জ। আদালতে বিচারাধীন কোন বিষয় এবং যা প্রকাশে আদালত বা ট্রাইব্যুনালের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে অথবা যার প্রকাশ আদালত অবমাননার শামিল এরূপ তথ্য;
ঝ। তদন্তাধীন কোন বিষয় যার প্রকাশ তদন্ত কাজে বিঘ্ন ঘটাতে পারে এরূপ তথ্য;
ঞ। আইন অনুসারে কেবল একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রকাশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে এরূপ তথ্য;
ট। কৌশলগত ও বাণিজ্যিক কারণে গোপন রাখা বাঞ্ছনীয় এরূপ কারিগরী বা বৈজ্ঞানিক গবেষণালব্ধ কোন তথ্য;
ঠ। কোন ক্রয় কার্যক্রম সম্পূর্ণ হওয়ার পূর্বে বা উক্ত বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের পূর্বে সংশ্লিষ্ট ক্রয় বা উহার কার্যক্রম সংক্রান্ত কোন তথ্য;
ড। জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিকার হানির কারণ হতে পারে এরূপ তথ্য;
ঢ। কোন ব্যক্তির আইন দ্বারা সংরক্ষিত গোপনীয় তথ্য;
ণ। পরীক্ষার প্রশ্নপত্র বা পরীক্ষার প্রদত্ত নম্বর সম্পর্কিত আগাম তথ্য;
ত। মন্ত্রিপরিষদ বা ক্ষেত্রমত, উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে উপস্থাপনীয় সার-সংক্ষেপসহ আনুষঙ্গিক দলিলাদি এবং উক্তরূপ বৈঠকের আলোচনা ও সিদ্ধান্ত সংক্রান্ত কোন তথ্য; তবে শর্ত থাকে যে, মন্ত্রিপরিষদ বা ক্ষেত্রমত, উপদেষ্টা পরিষদ কর্তৃক কোন সিদ্ধান্ত গৃহীত হওয়ার পর অনুরূপ সিদ্ধান্তের কারণ এবং যে সকল বিষয়ের উপর ভিত্তি করে সিদ্ধান্তটি গৃহীত হয়েছে সে সংক্রান্ত তথ্য দেয়া যাবে।
উঃ(ক) তথ্যের জন্য অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ হতে অনধিক ২০(বিশ) কার্য দিবসের মধ্যে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করা হবে।
(খ) অনুরোধকৃত তথ্যের সাথে একাধিক তথ্য প্রদান ইউনিট বা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকলে অনধিক ৩০(ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করা হবে।
(গ) কোন কারণে তথ্য প্রদানে অপারগ হলে অপারগতার কারণ উল্লেখ করে আবেদন প্রাপ্তির ১০(দশ) কার্য দিবসের মধ্যে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তার মাধ্যমে তা অনুরোধকারীকে অবহিত করা হবে।
উঃ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রত্যাশিত তথ্য না পেলে কিংবা প্রাপ্ত তথ্য সন্তোষজনক না হলে কারণ উল্লেখপূর্বক তথ্য অধিকার (তথ্য প্রাপ্তি সংক্রান্ত) বিধিমালা, ২০০৯ এ বর্ণিত ফরম ‘গ’ তে (ক্লিক করুন) ৩০(ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট আপীল করতে পারবেন।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের আপীল কর্তৃপক্ষের বিবরণ নিম্নরূপঃ
আপীল কর্তৃপক্ষ:
সচিব
ফোন:
৯৫৪০১০০
ই-মেইল:
secretary@moa.gov.bd
ওয়েবসাইট:
www.moa.gov.bd
ঠিকানা:
ভবন নং # ০৪, কক্ষ নং-৫৩৬ (৬ষ্ঠ তলা)
কৃষি মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশ সচিবালয়, ঢাকা-১০০০।
আপীল কর্তৃপক্ষ আপীল আবেদন প্রাপ্তির পরবর্তী ১৫(পনের) দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করবেন।
উঃ আপীল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না হলে তথ্য অধিকার (অভিযোগ দায়ের ও নিষ্পত্তি সংক্রান্ত) প্রবিধানমালা, ২০১১ এর প্রবিধান ৩(১) এ বর্ণিত ‘ক’ ফরম (ক্লিক করুন) এ তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ এর ২৫ ধারা মোতাবেক তথ্য কমিশনে অভিযোগ দায়ের করতে পারবেন।
উঃ তথ্য-অর্থে কৃষি মন্ত্রণালয়ের গঠন, কাঠামো ও দাপ্তরিক কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত যে কোন স্মারক, বই, নকশা, মানচিত্র, চুক্তি, তথ্য-উপাত্ত লগ বহি, আদেশ, বিজ্ঞপ্তি, দলিল, নমুনা, পত্র, প্রতিবেদন, হিসাব বিবরণী, প্রকল্প প্রস্তাব, আলোকচিত্র, অডিও, ভিডিও, অংকিত চিত্র, ফিল্ম, ইলেকট্রনিক প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত যে কোন ইনস্ট্রুমেন্ট, যান্ত্রিকভাবে পাঠযোগ্য দলিলাদি এবং ভৌতিক গঠন ও বৈশিষ্ট্য নির্বিশেষে অন্য যে কোন তথ্যবহ বস্তু বা উহাদের প্রতিলিপিও এর অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে শর্ত থাকে যে, দাপ্তরিক নোট সিট বা নোট সিটের প্রতিলিপি এর অন্তর্ভুক্ত হবে না।
উঃ হ্যাঁ, বর্ণিত এ ফরমে বর্ণনা দেয়া যায় না, এমন কোন তথ্যের জন্য আপনি নিচের বক্স/খালি জায়গা ব্যবহার করতে পারেন। মন্ত্রণালয়ের প্রচলিত আইন বা বিধিবিধানের আলোকে বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।
(১৪)
নির্দেশিকাটির মান উন্নয়নের জন্য কোন পরামর্শ দেয়া যাবে কি?
উঃ হ্যাঁ, দেয়া যাবে। এ নির্দেশিকার মান উন্নয়নের জন্য যে কোন পরামর্শ সাদরে গ্রহণ করা হবে। আপনার প্রস্তাবনা নিম্নের ঘরে লিখুন ও প্রয়োজনে অতিরিক্ত পাতা সংযুক্ত করুন।